The path of love : Osho Rajneesh
প্রেমের সরল পথ (দি পাথ অব লাভ) : ওশো রজনীশ
অনুবাদ : শুভ্র চৌধুরী
প্রথম অধ্যায়
সত্য হচ্ছে খাঁটি এবং এর কাছে পৌঁছুত হলে তোমাকেও খাঁটি হতে হবে। কাউকে অনুসরণের মাধ্যমে সত্যকে অর্জন করা যায় না। সত্য অর্জিত হতে পারে তোমার নিজের জীবনকে বোঝার মাধ্যমে। কোনো যুক্তিতে সত্যকে কোনো ধর্মমত বলা যায় না। সত্য হচ্ছে তোমার অস্তিত্বের গভীর শিকড়—যা লুকিয়ে আছে প্রেমরূপে। সত্য কোনো যুক্তি নয়, নয় কোনো নীতিবাক্য। সত্য হচ্ছে প্রেমের আকস্মিক বিস্ফোরণ। আর যখন তোমার মাঝে সত্য প্রকাশিত হয়, জীবন সম্পর্কে ঈশ্বর সম্পর্কে ধর্ম সম্পর্কে তুমি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি দর্শন লাভ করো। তোমার দৃষ্টিভঙ্গি হয় অন্যরকম। যখন তোমার মন অন্যের থেকে ধার করা চিন্তাধারায় আচ্ছন্ন থাকে, যাকে তোমরা ধর্ম বলো, আসলে তা ধর্ম নয়, সেগুলো হচ্ছে কল্পনা। অনুমান নির্ভর লোক অসুস্থ। একজন খ্রিস্টান অসুস্থ, একজন হিন্দু অসুস্থ। কৃষ্ণ স্বাস্থ্যবান ছিলেন, দারুণভাবে স্বাস্থ্যবান ছিলেন। খ্রিস্টও তাই ছিলেন। খ্রিস্ট যখন কিছু বলেন, নিজে থেকে বলেন। তিনি অন্য কারো পুনরাবৃত্তি করেন না, তিনি একটা তোতা পাখি নন। তিনি যা বলেন, তা তার নিজস্ব উপলব্ধি। আর এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই তিনি অন্য সবার থেকে আলাদা। যখন তুমি খ্রিস্টান হও, তখন তুমি খ্রিস্টের পুনরাবৃত্তি করো। ক্রমান্বয়ে তুমি একটা ছায়ায় পরিণত হও। তুমি তোমার অস্তিত্বকে হারিয়ে ফেলো, তুমি তোমার নিজেকে হারিয়ে ফেলো। তুমি আর খাঁটি থাকো না। একজন খ্রিস্টান বস্তুত মৃত, অথচ ধর্ম নতুন করে জীবন সঞ্চার করার কথা। হ্যাঁ, এটা ক্রুসিফিক্সিশানও : নতুনের জন্মের জন্য পুরনোকে মরতেই হবে।
একটা মৃত ধর্মমত, প্রতিকৃতি আর মন্দিরের অনুসরণের মাধ্যমে তুমি কখনো পুরনোকে মরতে দিচ্ছো না। আর কখনোই নতুনকে জন্ম নিতে দিচ্ছো না। তুমি কখনো রিস্ক নাও না। তুমি কখনো বিপদের সমুদ্র পার হতে চাও না। যখন খ্রিস্ট তার অস্তিত্বের সম্মুখীন হতে চললেন, তখন তার চলা ছিল ভয়ঙ্কর : তিনি খুব বড় একটা ঝুঁকি নিচ্ছিলেন, তিনি অজানার দিকে যাচ্ছিলেন।
এক রাতে আমি এক যুবকের সন্ন্যাস জীবনের উদ্বোধন করছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম অজানাকে খুঁজতে। সে বলল, ‘কিন্তু কেন? আর কিভাবে? কিভাবে আমি অজানাকে খুঁজবো? যাকে আমি জানি না, তাকে আমি কিভাবে খুঁজবো?’ আমরা শুধু পরিচিতকেই খুঁজি। কিন্তু যদি তুমি শুধু পরিচিতকেই খোঁজো, তুমি ঈশ্বরকে জানতে পারবে না; কারণ তুমি ঈশ্বরকে চেনো না। যদি তুমি শুধু চেনা জানাকেই খুঁজে বেড়াও তুমি শুধু একটা চক্রেই আবর্তিত হতে থাকবে। তুমি ক্রমশ যান্ত্রিক হতে থাকবে।
অজানাকে সন্ধান করো, কারণ অজানাকে সন্ধানের মাধ্যমে তুমি তোমার চেনা চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে, পুনরাবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে, যান্ত্রিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। সে ঠিকই বলেছে। সে বলেছে, ‘কিভাবে অজানার সন্ধান করবো?’
চেনা জানাকে ফেলে দাও, তার সাথে ঝুলে থেকো না, আর অজানার জন্য প্রতীক্ষায় থাকো। অজানা তোমার দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন, কিন্তু তুমি চেনা জানাদের দ্বারা এতটাই পূর্ণ হয়ে আছ যে, অজানার সেখানে প্রবেশের কোনো স্থানই অবশিষ্ট নেই। অজানা অতিথি হতে ইচ্ছুক, কিন্তু ঘরের মালিক চেনা জানাদের প্রতি আগ্রহী। ঘরের মালিক চেনা জানাদের দ্বারা এতোটাই আবিষ্ট যে, অজানার দিকে নজর দেবার এতটুকু অবসর নেই তার।
হ্যাঁ, আমি তার প্রশ্ন বুঝতে পেরেছি : কিভাবে অজানার সন্ধান করবো? কারণ তুমি তো সন্ধান করছো কোনো চেনা জানার। মন অজানাকে সন্ধান করতে পারে না, তাই মন হচ্ছে অজানার পথে বাধা। মন বারে বারে জানা কিছুর সন্ধান করে। মন পুনরাবৃত্তি পছন্দ করে।
ধ্যানের মূলকথা এটাই : একটা পথ, মনকে ছুড়ে ফেলার একটা শিল্প—অন্তত কয়েক মুহূর্তের জন্য—যাতে তুমি অজানার দিকে নজর দিতে পারো, তুমি কোথায় যাচ্ছ তাকে না জানা। কিন্তু সেই মুহূর্তগুলো সবচেয়ে সুন্দর—যখন তুমি জানো না যে, তুমি কোথায় যাচ্ছ। যখন তুমি জানো না যে, তুমি কে, যখন তুমি তোমার দিক সম্পর্কে কিছুই জানো না, তোমার লক্ষ্য কি তা জানো না; যখন জ্ঞান জাতীয় কিছু থাকে না।
যখন জ্ঞান বিদ্যমান থাকে না, তখন সেখানে প্রেম থাকে। জ্ঞান প্রেমের বিরোধী। জ্ঞানী লোকেরা প্রেম কি তা জানে না। আর যারা প্রেমিক, তারা কখনো জ্ঞানী হতে পারে না। প্রেম তোমাকে বিজ্ঞ করে, কিন্তু কখনোই জ্ঞানী নয়। জ্ঞান তোমাকে চতূর ও ধূর্ত বানায়, কিন্তু কখনো প্রেমিক হতে শেখায় না।
মন হচ্ছে জানা এবং ঈশ্বর হচ্ছেন অজানা। আর খ্রিস্ট বলেছেন, ঈশ্বর হচ্ছেন প্রেম। প্রেম আসে অজানার মাধ্যমে, অজানার সাথে, অজানার অংশ হিসেবে। অজানার উদ্দেশ্যে যাত্রার জন্য একজন মানুষের সাহস দরকার, প্রচণ্ড সাহস। জানার সাথে যুক্ত থাকার জন্য কারো সাহসের প্রয়োজন হয় না : যে কোনো কাপুরুষ তা করতে পারে, কাপুরুষরা শুধু তাই করে।
যখন তুমি একজন খ্রিস্টান হও, তার মানে তুমি একটা কাপুরুষ; যখন তুমি একজন মোহামেডান হও, তার মানে তুমি একটা কাপুরুষ; যখন তুমি একজন হিন্দু হও, তার মানে তুমি একটা কাপুরুষ। যখন তুমি ধার্মিক হতে চাও, তার মানে তুমি খুব সাহসী একটা লোক—তুমি একটা অভিযান চালাতে যাচ্ছ, তুমি অজানাকে সন্ধান করছো, তুমি যাচ্ছ অপরিজ্ঞাতের দিকে, অসীমের দিকে, অফুরানের দিকে। সেখানে পদে পদে বিপদ, যাতে তুমি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারো। সেখানে পদে পদে এমন বিপদ, যেখান থেকে তুমি আর ফিরে নাও আসতে পারো। সেখানে পদে পদে এমন বিপদ, যেখানে তুমি সকল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারো। এটা হচ্ছে সেই মূল্য—যা একজন মানুষকে প্রকৃত ধর্ম পাবার জন্য দিতে হয়।
মানুষ ভীতু প্রকৃতির, তাই তারা মিথ্যা বিকল্প অবলম্বন করে। খ্রিস্টান ধর্ম, হিন্দু ধর্ম কিংবা ইসলাম—এগুলো সব মিথ্যা বিকল্প, সস্তা ও খুব সহজলভ্য। তোমাকে কিছুই করতে হবে না : তুমি একটা নির্দিষ্ট পরিবারে জন্ম নাও এবং খ্রিস্টান হতে থাকো। আরেকজন আরেকটি পরিবারে জন্ম নেয়, আর হিন্দু হতে থাকে। তুমি কিছুই করো নাই, তুমি সচেতনভাবে কোনোকিছুই বাছাই করোনি, তুমি এক ইঞ্চিও নড়োনি। সেখানে কোনো তীর্থযাত্রা হয়নি, তুমি কোনো কিছুরই সন্ধান করোনি। তখন অবশ্যই ধর্ম হতে পারে শুধু একটা লেবেল, আর এই লেবেলগুলো অসুস্থ। কেন তুমি অসুস্থতার দিকে যাচ্ছ? কারণ তোমার অন্তর্নিহিত বাস্তবতা ভিন্ন, আর ঐ লেবেলটা একেবারে ভিন্ন। ভালো ভাবে চেয়ে দেখো একজন হিন্দু, একজন মোহামেডান, একজন খ্রিস্টান, একজন জৈন কিংবা একজন বৌদ্ধের দিকে এবং তুমি দেখতে পাবে যে, তাদের লেবেলটাই শুধু ভিন্ন; অন্তরের দিক থেকেই এরা সবাই একই মানুষ। আর এই লেবেলগুলোই প্রব্লেম সৃষ্টি করছে।
বাইবেল বলে যে, শত্রুকে ভালোবাসো, অথচ তুমি তোমার বন্ধুকেও ভালোবাসত পারছো না। এমনকি তুমি তোমার নিজেকেও ভালোবাসতে পারছো না। আর জেসাস বলেছেন, ‘তুমি তোমার প্রতিবেশীকে তেমনটি ভালোবাস, যেমনটি তুমি তোমার নিজেকে ভালোবাস।’ অথচ তুমি তোমার নিজেকেই ভালোবাসতে পারছো না; কেমন করে তুমি তোমার প্রতিবেশীকে ভালোবাসবে? আর জেসাস বলেছেন, ‘তুমি তোমার শত্রুকে ভালোবাসো’, অথচ তুমি এটাও জানো না যে বন্ধুকে কেমন করে ভালোবাসতে হয়, কেমন করে ভালোবাসতে হয় প্রেমিক/প্রেমিকাকে। তুমি ভালোবাসার রাস্তা চিনো না।
তখন তুমি কি করবে? তুমি একজন ভণ্ড, একজন প্রতারক বনে যেতে থাকো, তুমি একটা ভূয়া সত্তায় পরিণত হতে থাকো। এটাই হচ্ছে অসুস্থতা : তুমি দ্বৈত সত্তায় রূপান্তরিত হও। ভেতরে তুমি একরকম, আবার বাইরে নিজেকে জাহির করো অন্যরকম ভাবে। ভেতরে তোমার কান্না, অথচ মুখে ঝুলে থাকে হাসি। এটা তোমাকে বিভক্ত করে; এটাই হচ্ছে সিজোফ্রেনিয়া, এটাই হচ্ছে বিভক্ত ব্যক্তিত্ব। এটাই হচ্ছে স্নায়ুবিকারের মূল কারণ।
তাই ধর্ম অসুস্থতায় রূপান্তরিত হয় : অনুকরণ ধর্মকে অসুস্থ বানায়, পৃথিবীকে পাগলের আড্ডা বানায়। নিজস্ব উপলব্ধির মাধ্যমে ধর্ম তোমাকে সুস্বাস্থ্য দান করে, দান করে আনন্দের বর, জীবন হয় উদযাপিত।
এই দুই প্রকারের ধর্মকে ভালোভাবে বুঝতে হবে। যদি তোমার ধর্ম ধার করা হয়, সেটা তোমার জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করবে—কারণ এটা জীবনের বিরুদ্ধে চলে যাবে। প্রতি মুহূর্তে তুমি অনুভব করবে যে এটা জীবন বিরুদ্ধ : এটা হবে জীবনের বিপরীত, এটা তোমাকে আত্মনিগ্রহকারী বানায়, তুমি নিজের উপর নির্যাতন করতে শুরু করো… কারণ তুমি তোমার নিজেকে সবসময় ধর্মের সাথে দ্বন্দ্বরত অবস্থায় দেখতে পাও। কি করার আছে? তুমি নিজেকে দোষী ভাবতে শুরু করো। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে নিজেকে তুমি দোষী ভাবতে থাকো। যা কিছুই তুমি করো সবকিছু; এমনকি যদি তুমি নির্দোষভাবে এক কাপ চায়ে চুমুক দাও তাকেও, সেখানে ধর্ম আছে যা তোমার নিজেকে দোষী ভাবতে শেখায়।
মহাত্মা গান্ধীর আশ্রমে চা নিষিদ্ধ ছিল। যদি কাউকে চা পান করতে দেখা যেত, তাকে শাস্তি দেয়া হতো : তাকে একদিন বা দুইদিন না-খাইয়ে রাখা হতো। এখানে সামান্য চা পানও পাপ; অন্য ব্যাপারগুলোতে আর কি বলার আছে? তুমি যে জিনিসের কথাই বলো না কেন, কোনো-না-কোনো ধর্ম সেখানে একটা দোষ বের করবেই।
এই ধরনের নিয়ম-কানুন তোমাকে পরিপূর্ণভাবে জীবনযাপন করতে দেয় না। আর তুমি যদি জীবনকে পরিপূর্ণভাবে যাপন না করো, তুমি কখনোই জানতে পারবে না ঈশ্বর কি—কারণ ঈশ্বরের সাথে একমাত্র সর্বোচ্চ পর্যায়েই সংযোগ সাধন করা সম্ভব। শুধু তখনই সম্ভব, যখন তোমার শিখা সমুজ্জ্বল, যখন তোমার মোম দুইদিক থেকেই পুড়ে, যখন তুমি জীবনীশক্তির একটি আগুন। জীবনের সর্বোত্তম পর্যায়ে, জীবনের সর্বোচ্চ পর্যায়েই তুমি ঈশ্বরের ক্ষীণ আলোর দেখা পাবে। যখন তুমি তোমার জীবনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হও, তখনই কেবল ঈশ্বরের দিকে তোমার প্রথম পদক্ষেপ দেয়া হয়।
আব্রাহাম ম্যাশলো’ই ঠিক যখন তিনি বলেন, সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতাই একজন মানুষকে স্বাস্থ্যবান করে, আর শুধু একজন স্বাস্থ্যবান মানুষেরই থাকতে পারে সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতা। হ্যাঁ, এটাই ঠিক। যখন তুমি একটা সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণ করতে পারো, যখন তুমি কোনো একটি মুহূর্তে পরিপূর্ণভাবে নিমগ্ন হতে পারো, দরজা খুলে যায়। তুমি তোমার অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চ আর চরম স্তরে ঈশ্বরের পা স্পর্শ করো।
তাই তন্ত্র বলে যে : ভালোবাসা তৈরিতে, যখন তোমার বীর্যপাত হয় পরিপূর্ণরূপে, যখন তোমার সম্পূর্ণ সত্তা এতে যুক্ত থাকে, যখন তোমার অস্তিত্বের প্রতিটি তন্তু কম্পিত-স্পন্দিত হয়, দেহের প্রতিটি কোষ সজাগ, সম্পূর্ণরূপে সজাগ, আর যখন তুমি একটা সমুদ্রে পরিণত হও, আর তুমি সম্পূর্ণরূপে নিজেকে হারিয়ে ফেলো, আর তুমি জানো না যে তুমি কোথায় আছো, সকল দেয়াল উধাও হয়ে যায়, বীর্যপাতের মুহূর্তে তুমি চাতুরী সমাধী ও নির্বাণের প্রথম ঝলক দেখতে পাও। কিন্তু যে অবস্থায়ই হোক না কেন, যদি তুমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছুতে পারো, তুমি ঈশ্বরের একটি ঝলক দেখতে পাবে।
কিন্তু তোমাদের কথিত ধর্মগুলো কোনো সর্বোচ্চ পর্যায়কে অনুমোদন দেয় না। তারা তোমাদের পঙ্গু করে দেয়, অসাড় করে দেয়, তারা তোমাদের কেটে ছোট করে দেয়। তারা শুধু অনুমোদন দেয় জীবনের সর্বনিন্ম পর্যায়কে।
আত্মত্যাগের মানে এটাই : সর্বনিন্ম পর্যায়ে জীবন ধারণ। শুধু মৌলিক চাহিদাগুলো পূর্ণ হবে। তোমাদের প্রচলিত ধর্মগুলো এটা শেখায় না যে, কি করে প্লাবিত করা যায়; তারা শুধু শেখায় যে, কি করে আরো বেশি সংকীর্ণ হওয়া যায়। তারা তোমাকে একটা সংকীর্ণ সুড়ঙ্গে পরিণত করে। প্রকৃত ধর্ম তোমাকে উদার করে, আকাশের মতো উদার।
(চলবে)
The path of love : Osho Rajneesh. প্রেমের সরল পথ (দি পাথ অব লাভ) : ওশো রজনীশ
ধারাবাহিকভাবে পড়তে বিষয়ে ক্লিক করুন
দি পাথ অব লাভ – ১
দি পাথ অব লাভ – ২
দি পাথ অব লাভ – ৩
দি পাথ অব লাভ – ৪
দি পাথ অব লাভ – ৫
৪ thoughts on “দি পাথ অব লাভ : ওশো রজনীশ : ১”